খােলা বাজার২৪। বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮: ভবিষ্যতে যা দিন আসেছ ভাবলে অবাক হয়ে যাবেন। হয়তো শয্যাসঙ্গিনী হিসেবে পাওয়া যাবে পর্ন ছবির কোনো তারকাকে। শুধু মনের ভাবনায় নয়, তথ্যপ্রযুক্তিগত ভাবে এতটাই এগিয়ে চলেছে প্রাপ্তবয়স্ক বিনোদন দুনিয়া অনুভূতিও এনে দিতে পারবে। এই নিয়ে রীতিমতো গবেষণা চলছে।
ইন্টারনেট হাতের নাগালে চলে এসেছে পর্নগ্রাফি। এখন আর বাড়ির আলমারির উঁচু তাকের পিছনে লুকিয়ে রাখতে হয় না ম্যাগাজিন। মাত্র এক ক্লিকেই পাওয়া যায় পছন্দের ছবি, ভিডিও। ২০১৬ সালের হিসাব অনুযায়ী ২ হাজার ১০০ কোটিবার মানুষ পর্নহাব (প্রাপ্তবয়স্কদের ওয়েবসাইট) দেখেছে। আর এই সাইটে সময় কাটিয়েছেন ৪০০ কোটি ঘন্টা। প্রযুক্তি দ্রুতগতিতে অনেক এগিয়ে গেছে। এখন এক্সপার্টরা চিন্তাভাবনা শুরু করে দিয়েছেন ভবিষ্যতের পর্নগ্রাফি কেমন হবে। এটা কী হাইপার রিয়াল বা ভার্চুয়াল রিয়েলিটির জগতে পৌঁছে যাবে। যিনি দেখবেন তিনিই কী অংশ নিতে পারবেন ভিডিও-র মুভমেন্টে, নাকি পার্টনার বদলে রোবট হয়ে যাবে।
যৌনতা, সমাজ ও অ্যাডাল্ট এনটারটেনমেন্টের দীর্ঘদিনের এক গবেষক বলেন, তাঁর সমীক্ষার ফলাফল পর্নগ্রাফি সমাজকে আরও মুক্তমনের হতে সাহায্য করে। এখনকার মানুষ নিজেদের কীরকম ভাবে তৈরি করছেন তারওপরই নির্ভর করবে ভবিষ্যতের প্রাপ্তবয়স্ক বিনোদনের রূপরেখা। প্রাপ্তবয়স্ক বিনোদনের রূপরেখা কীরকম হতে চলেছে জানলে অবাক হতে হবে। হয়ত সেলিব্রিটিদের সঙ্গে যৌনতার সুখ ভারচুয়াল রিয়েলিটি তে উপভোগ করা যাবে। আর এজন্য খুব বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে না। সাম্প্রতিক বছর গুলি এই প্রাপ্তবয়স্ক বিনোদনের সামগ্রী যেভাবে বদলে গেছে তাতে ভবিষ্যতে বিপ্লব হয়ে যেতে চলেছে। তবে সমাজ এটি নেওয়ার জন্য কতটা তৈরি সেটা নিয়েই গবেষণা চলছে।
যৌনতা সৃষ্টির আদিকাল থেকেই রয়েছে, এবং যতদিন সভ্যতা থাকবে ততদিন এটা থেকে যাবে। হয়ত বেশকিছু পরিবর্তন এসেছে কিন্তু মূল বিষয়টা একই চক্রের আদলে ঘোরাফেরা। সময়ের সঙ্গে ভারসাম্য রেখে বদল হতে থাকবে প্রাপ্তবয়স্ক বিনোদনের দুনিয়াতেও। যৌনতার ক্ষেত্রেও বদল হতে পারে।