খােলা বাজার২৪। বুধবার, ০৭ মার্চ, ২০১৮: চাকরির দরখাস্ত করার জন্য অর্থের প্রয়োজন হয়। অর্থের অভাবে ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও অনেকে আবেদন করতে পারেন না। কিন্তু কারো চাকরির দরখাস্তের মূল্য কী বিপুল পরিমাণ হতে পারে? বাস্তবে তেমনটাই ঘটতে যাচ্ছে একজনের ক্ষেত্রে।
বিশ্বের ধনীদের তালিকার শীর্ষের দিকেই তার নাম ছিল। ‘অ্যাপল ইনকর্পোরেটেড’-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা তিনি। বিশ্ববাসী তাকে চেনেন মাইক্রো কম্পিউটারের জনক হিসেবেই। শুধু কম্পিউটার নয়, পরবর্তী সময়ে আইফোনও বিশ্ববাজারে আনেন তিনিই।
ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে ৫৬ বছর বয়সে ২০১১ সালে মারা যান তিনি। তিনি আর কেউ নন, স্টিভ জবস। সম্প্রতি বস্টনের এক অকশন হাউস জনসম্মুখে নিয়ে এসেছে তার একটি চাকরির দরখাস্ত।
প্রায় ৪০ বছর আগের সেই দরখাস্ত পড়লে যুবক স্টিভ সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য জানা যায়। বিশেষ কিছু করার সক্ষমতার ব্যাপারে মন্তব্যের ঘরে তিনি লিখেছিলেন, ‘টেক অর ডিজাইন ইঞ্জিনিয়ার’।
ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে কি না জানতে চাইলে তিনি লিখেছিলেন ‘সম্ভব, তবে সম্ভাবনা নেই’। আইফোনের স্রষ্টার কাছে তখন কোনো ফোন ছিল না বলেই জানা গেছে ওই দরখাস্ত থেকে।
১৯৭৩ সালের সেই দরখাস্ত যে স্বাভাবিকভাবেই সংরক্ষকদের কাছে মূল্যবান হবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। বস্টনের ওই নিলামের হাউসের পক্ষ থেকে গত বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়েছে, স্টিভ জবসের ওই চাকরির দরখাস্তের দাম উঠতে পারে ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি টাকায় যার অঙ্ক দাঁড়ায়, ৪১ লাখ ৫৫ হাজার দুইশ ৫০ টাকা।
জানা গেছে, ৮ মার্চ থেকে ১৫ পর্যন্ত চলবে নিলামটি। সেখানে এই দরখাস্তের পাশাপাশি থাকবে, স্টিভ জবসের স্বাক্ষর করা ‘ম্যাক ওএস এক্স’-এর একটি মানুয়্যেল ও খবরের কাগজের একটি ক্লিপিং।
প্রসঙ্গত, চাকরির এই দরখাস্ত করার প্রায় তিন বছর পর, বন্ধু স্টিভ ওজনিয়াকের সঙ্গে তিনি শুরু করেন অ্যাপেল ইনকর্পোরেটেড। এবং সেই দরখাস্তে তার নাম স্বাক্ষরিত ছিল ‘স্টিফেন জবস’ হিসেবে। তথ্যসূত্র : কালের কণ্ঠ