Thu. Jun 19th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

ভারতের প্রধানমন্ত্রী পদেও কী ক্রিকেটার আসছেন?

খোলাবাজার২৪. শনিবার ,০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ : আর কয়েকমাস পরেই বিশ্বের সবথেকে বড় গণতন্ত্রের দেশ ভারতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দেশ পরিচালনার জন্য নেতাকে বেছে নেবেন দেশের মানুষ। ১২৫ কোটি মানুষের এই দেশে প্রধানমন্ত্রী পদ ঘিরে চলছে নানা আলোচনা। অর্থাৎ ২০১৯-এ, কারা ওই চেয়ারের দাবিদার হতে চাইছেন, তা পরিষ্কার। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে দৌড়ে রয়েছেন কংগ্রেসের যুবরাজ রাহুল গান্ধী। পিছিয়ে নেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

কিন্তু দেশটিতে আলোচনার মোর কিছুটা ঘুড়িয়ে দিয়েছে পাকিস্তানের নির্বাচন। দেশটির প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসেছেন সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খান। তবে কী ভারতেও আসছেন সাবেক কোন ক্রিকেটার? এমন প্রশ্নে নাম উঠে এসেছে সৌরভ গাঙ্গুলীর।

না কোনও সিনেমার স্ক্রিপ্ট নয়। হয়ত এরকম একটা দিনের দিকেও তাকিয়ে আছে ভারতবাসীর একাংশ। যাদের সঙ্গে রাজনীতির দূর অবধি কোনও সম্পর্ক নেই, যাঁরা মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা দেন না, তবু যাদেরকে একবার দেখার জন্য উপচে পড়ে সাধারণ মানুষ, তাঁরাই যদি নেতা হন, মন্দ কি!

দেশটিতে I-PAC নামে একটি সংস্থা ‘ন্যাশনাল পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটি’ নামে এক বিশেষ সমীক্ষা চালু করেছিল সম্প্রতি। আর সেখানেই স্পষ্ট হয়েছে ভারতবাসীর সেই অলীক আশার কথা। প্রতিবেদনটি লেখার সময় পর্যন্ত সমীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ৫৮ লক্ষের কিছু বেশি মানুষ। কাকে তাঁরা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান, তাতে ভোট দিয়েছেন অংশগ্রহণকারীরা। কিন্তু সেই সমীক্ষায় ছিল একটি মজার অপশন-ADD NEW LEADER। নরেন্দ্র মোদী, রাহুল গান্ধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অখিলেশ, মায়াবতী, কেজরিওয়াল, ইয়েচুরি, দেবগৌড়া, নীতিশ কুমার ও শরদ পাওয়ার বাদে যদি অন্য কাউকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিতে চান কেউ, তাহলে তিনি ওই অপশনে যোগ করতে পারবেন সেই ব্যক্তির নাম।

সেখানেই উঠে এসেছে একাধিক অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের নাম। সেই তালিকায় রয়েছেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী। ক’দিন আগেই পাশের দেশ পাকিস্তানে প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসেছেন ইমরান খান। বিদেশ থেকে বাহবা দিয়েছেন অনেক ক্রিকেটার বন্ধু। তবে তফাৎ একটাই ইমরান খান বহুদিন ধরে রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। তবে সৌরভের সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক এখনও তৈরি হয়নি। বাম আমলে অশোক ভট্টাচার্য মন্ত্রী থাকাকালীন, তাঁর সঙ্গে সৌরভের সুসম্পর্কের কথা সবাই জানতেন।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতার আসার পর তাঁর সঙ্গেও এক ফ্রেমে সৌরভকে দেখা গিয়েছে একাধিকবার। আবার আইপিএলের সময় নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে হাত মেলাতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। ২০১৫-তে একবার সৌরভের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনার কথা সামনে এলেও সেই আশা ধোপে টেকেনি। নিছক সংবাদমাধ্যমের প্রচার হয়েই রয়ে গিয়েছিল সেটা। যদিও, সব জল্পনা উড়িয়ে সৌরভ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।

শুধু সৌরভ নয়, অরাজনৈতিক অনেকেই দেখতে চাইছেন ভারতের মানুষ। তালিকায় ১ নম্বরে রয়েছেন আমির খান। দ্বিতীয়তে, অক্ষয় কুমার। স্ক্রিনের দেশভক্তিই বোধহয় আগে রেখেছে এই দুই অভিনেতাকে। রয়েছেন আন্না হাজারেও। রামদেবের সঙ্গে রাজনীতির হালকা যোগাযোগ থাকলেও, তিনিও স্থান নিয়েছেন এই তালিকায়। সৌরভ ছাড়াও আরো এক অধিনায়ককে মোদির সঙ্গে লড়াইতে দেখতে চান ভারতবাসী, তিনি ‘ক্যাপ্টেন কুল’ ধোনি। আর ভারতে যখন পেট্রোল আর টাকার দাম বাড়ছে, তখন বোধহয় অর্থনীতির বিপ্লব দেখতেই তালিকায় জায়গা দেওয়া হয়েছে রঘুরাম রাজন কিংবা রতন টাটার মত ব্যক্তিত্বকে। সূত্র: কলকাতা টোয়েন্টিফোর সেভেন।