Mon. Oct 27th, 2025
Advertisements
খােলাবাজার ২৪,মঙ্গলবার,২২অক্টোবর,২০১৯ঃ জাতীয় দলের সদস্যসহ বিভিন্ন স্তরের ক্রিকেটারদের ১১ দফা দাবিতে ডাকা ধর্মঘটের বিষয়টি দেশের ক্রিকেটকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত বলে মনে করছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এমপি। আজ মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বেলা সাড়ে তিনটায় বিসিবিতে ডাকা জরুরি সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন বিসিবি বস।

এদিন সংবাদ সম্মেলনে শুরু থেকে ক্রিকেটারদের দাবি-দাওয়ার বিষয়টিকে পূর্বপরিকল্পিত দাবি করেন পাপন। ক্রিকেটারদের ধর্মঘট ডাকার বিষয়টিতে বিস্মিত হয়ে তিনি বলেন, ‘শকিং, আমার বিশ্বাসই হচ্ছে না, আমাদের খেলোয়াড়দের কাছ থেকে এমন কিছু আসতে পারে।’

তিনি বলেন, যে কোনও সমস্যা নিয়ে ক্রিকেটাররা সাধারণত বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করে। কিন্তু আকস্মিকভাবে এমন কি হলো যে ধর্মঘট ডাকতে হবে! খেলোয়াড়রা আমাদের না জানিয়ে বিষয়গুলো সাংবাদিকদের জানিয়েছে, এতে আমি যারপরনাই বিস্মিত। সব মিলিয়ে আমি ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, ওদের যদি কিছু বলার থাকে, তাহলে তা তো আমাকেই বলার কথা। ওদের বেতন বাড়িয়েছি। বিশ্বকাপের পর ২৪ কোটি টাকা বোনাস দিয়েছি। এরপরও টাকার জন্য তারা খেলা বন্ধ করে দেবে? ওদের সুবিধা বাড়ানো ছাড়া তো কিছু করিনি। কিন্তু টকশো মিডিয়ার খবরে মনে হয়েছে ওদের আমরা শেষ করে ফেলেছি। এতো সম্পর্ক থাকার পরেও আমাদের কিছু বললো না কেন। এটা অবশ্যই পূর্বপরিকল্পিত।

খেলা বয়কট প্রসঙ্গে পাপন বলেন, ‘আমি বুঝতে পারছিনা দাবিগুলোর সঙ্গে খেলা বন্ধ করার কী সম্পর্ক। তারা যদি না-ই খেলে তাহলে লাভটা কী? কারও বক্তব্য থাকলে আসনু আমরা কথা বলি। কিন্তু খেলা বন্ধ হবে কেন? খেলাই যদি না হয় তাহলে কিসে কি হবে? এটা অবশ্যই খেলাকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র! এটা আজ হোক কাল, অপেক্ষা করেন আপনারা, অবশ্যই জানতে পারবেন।

দুই-একজন ক্রিকেটার এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলে জানিয়েছে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের আগে ক্যাম্প ও খেলা বয়কট করা পরিকল্পিত। এছাড়াও আন্দোলনে দুই-একজন ছাড়া বাকীরা জেনেশুনে আসেন নি।

এর আগে, জাতীয় লিগের পারিশ্রমিক বাড়ানো, কোয়াবের বর্তমান কমিটির পদত্যাগসহ ১১টি দাবি তুলে ধরেন সাকিব-মুশফিক-নাঈমসহ দেশের সিনিয়র ক্রিকেটাররা। সংবাদ সম্মেলনে ১০ জন ক্রিকেটার ১১টি দাবি তুলে ধরেন।