
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে এসব ছবি। বাস্তবে ছবির মানুষের কিন্তু কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যাবে না। এ ধরনের ভুয়া চেহারার অ্যাকাউন্টগুলো ধরতে কাজ করছে ফেসবুক।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হচ্ছে, ফেসবুকে সব ছবি দেখেই এখন আর বিশ্বাস করবেন না। প্রতিটি ছবি ভালোভাবে খেয়াল করতে হবে।
এসব ছবি ভালোভাবে খেয়াল করলে দেখা যাবে, তাতে ব্যবহার করা চশমা বা কানের দুল ঠিকমতো বসানো হয়নি। কারও ঘাড় যথাস্থানে নেই। কোনো ছবির ব্যাকগ্রাউন্ডে অমিল রয়েছে।
ফেসবুক এক ব্লগ পোস্টে বলেছে, এ ধরনের ভুয়া কার্যক্রম শনাক্ত এবং তা বন্ধ করতে আমরা নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের সেবা ব্যবহার করে যাতে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা না হয়, সেটাই আমাদের চাওয়া।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, তারা সরকার সংশ্লিষ্ট বা সরকারি কাজে বাইরে থেকে বাধা সৃষ্টি করে এমন অ্যাকাউন্টও বন্ধ করে দিতে ব্যবস্থা নিচ্ছে। এ ধরনের ভুয়া অ্যাকাউন্ট থেকে সমন্বিত ভুয়া কর্মসূচি ছড়ানোর আচরণ করা হয়। এ ক্ষেত্রে নিজের পরিচয় লুকিয়ে ব্যবহারকারীকে নানাভাবে বিভ্রান্ত করা হয়।
গ্রাফিকার বিশ্লেষকেরা বলেন, যেভাবে ভুয়া চেহারা বিশ্বাসযোগ্য করে তোলা হচ্ছে, সেটিই উদ্বেগের কারণ। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অনলাইন থেকে সুদর্শন কারও ছবি নিয়ে ভুয়া প্রোফাইল তৈরির ঘটনাও ঘটেছে।
ফেসবুকে সতর্কতা :
ফেসবুকে কোনো অপরিচিত কারও কাছ থেকে বন্ধুত্বের অনুরোধ এলে তা প্রকৃত কারও অ্যাকাউন্ট কি না, খেয়াল করুন। তার ছবিটি প্রকৃত মানুষের ছবি কি না, তা ভালোভাবে খেয়াল করবেন। ছবিতে কোনো খুঁত দেখলে সন্দেহ করবেন।
এ ছাড়া গুগলে ওই ব্যক্তি সম্পর্কে অনুসন্ধান করে দেখতে পারেন। অনেক ভুয়া অ্যাকাউন্ট অনলাইন থেকে সুদর্শন কোনো ছেলে বা মেয়ের ছবি নিয়ে তৈরি করা হয়। ভালোভাবে সার্চ দিলেই প্রকৃত বিষয়টি ধরতে পারবেন।