
২৭জুলাই খোলাবাজার অনলাইন ডেস্ক : বরিশাল ব্যুরোঃ ঝালকাঠির নলছিটির একজন সাংবাদিক ও দশ যুবলীগনেতা কর্মীসহ মোট ১১ জনের বিরুদ্ধে কল্পিত ও মনগড়া অভিযোগ এনে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী ইকবাল কবির।এ ঘটনায় পুলিশ যুবলীগ নেতা লুৎফর রহমান শাহিনকে আটক করেছে।
প্রকৌশলী ইকবার কবির নলছিটি থানায় দেয়া লিখিত এজাহারে উল্লেখ করেছেন, ২৪ জুন রাত ৮টার সময় আমার কার্যালয়ে আসামীরা এসে অনধিকার প্রবেশ করে সরকারি কাজে বাধাঁ প্রদান করে।আমাকে তারা কিল ঘুষি মেরে অফিসের মেঝেতে ফেলে দিয়ে হুমকি প্রদান করেন। যারা এসেছেন তারা চলমান টেন্ডার প্রক্রিয়া নিয়ে জানতে চান।
যাদেরকে আসামী করা হয়েছে তারা হলেন,ওয়াসিম হাওলাদার,লাইজু রহমান রিয়াজ,মোঃ জকির,মোঃ লুৎফর রহমান শাহিন,মহিউদ্দিন,মোঃ ইলিয়াস,দৈনিক আজকের বার্তার ভ্রাম্যমান সাংবাদিক এম আর কামরুল,আবুল কালাম আজাদ,মোঃ হানিফ হাওলাদার,তৌহিদ গাজী,দুলাল।
মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে এলজিইডি নলছিটির উপজেলা প্রকৌশলী ইকবাল কবির বলেন,আমি মামলা দায়ের করেছি শীর্ষ কর্মকর্তাদের নির্দেশে।টেন্ডার বিষয়ে জানতে চাইলে তাদেরকে আসামী করা হয়েছে কেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন,তারা টেন্ডার ভাগ ভাটোয়ারা হয়ে গেছে জানা সত্বেও এসে হট্টগোল করেছে।প্রতিটি প্রকল্প থেকে তিন ও পাচঁ ভাগ পার্সেন্টেজ নেয়ার বিষয় প্রশ্ন করা হলে তিনি এড়িয়ে যান।
মামলায় আসামী করা হয়েছে এক সাংবাদিককেও:
বিতর্কিত ও মিথ্যা মামলায় আসামী করা হয়েছে দৈনিক আজকের বার্তার ভ্রাম্যমান সাংবাদিক এম আর কামরুলকে। এ ব্যাপারে সাংবাদিক এম আর কামরুল বলেন, আমি কোন ঠিকাদার বা টেন্ডার প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত নই। তার পরেও আমাকে আসামী করা হয়েছে তা দুঃখজনক।তিনি বলেন ,আমি ইকবাল কবিরকে কল করেছিলাম কেন আইডি ওপেন করা হচ্ছেনা । সাংবাদিক হিসেবে প্রশ্ন করে আসামী হয়েছি।তিনি বলেন, ইকবাল কবির একজন দুর্নীতিবাজ ও অসৎ কর্মকর্তা।নিজের অনিয়ম, দুর্নীতি, অর্থ কেলেংকারী ধামাচাপা দেয়ার জন্যই এবং সাংবাদিকদের মুখ বন্ধ রাখার জন্য আমার নামে মিথ্যা বানোয়াট ও হয়রানীর জন্য মামলা দায়ের করেছেন।
এ ব্যাপারে নলছিটি থানার অফিসার ইনচার্জ মুঃ আতাউর রহমান বলেন, এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী কর্তৃক দায়েরকৃত মামলার চার নং আসামী মোঃ লুৎফর রহমান শাহিনকে আটক করা হয়েছে।তাকে কোর্টে প্রেরন করা হয়েছে। আদালত তাকে কারাগারে প্রেরন করেছে।
স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া:
স্থানীয় শাজাহান জানান,মামলায় ঘটনার দিন উল্লেখ করা হয়েছে ২৪ জুন আর মামলা হয়েছে ২৫ জুলাই।এত বড় ঘটনা তা নলছিটির কেউ জানেনা।মিথ্যার একটা সীমা থাকে যা অতিক্রম করেছে ইকবাল কবির।আসামীদের মধ্য একজন সাংবাদিক ছাড়া সকলেই ক্ষমতাশীনদলের অংঙ্গসংগঠন আওয়ামী যুবলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। তিনি বলেন,মামলাটি সম্পুর্ন মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী একজন অসৎ ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা।একটি পক্ষকে সুবিধা দিতে তিনি মামলা দায়েরের মত ন্যাক্কারজনক কর্ম করেছেন যা নলছিটিতে অতীতে ঘটেনি। স্থানীয় লোকজন মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানিয়েছেন।