খোলা বাজার২৪, শনিবার,০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬:
জুনাইদ আহমেদ পলক বৃহস্পতিবার স্থানীয় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ‘তৃণমূলের তথ্যজানালা’ কর্মসূচি এবং তথ্যসেবা বার্তা সংস্থা (টিএসবি) আয়োজিত প্রতিবেদন ও ফিচার লেখা এবং ই-কমার্স ও আউটসোর্সিংয়ের ওপর উদ্যোক্তা-প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
তৃণমূলের তথ্য জানালা কর্মসূচির পরিচালক ড. মো. মেহেদী হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় আরও বক্তৃতা করেন লিভারেজিং আইসিটি ফর গ্রোথ, এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড গভর্নেন্স প্রকল্পের কমিউনিকেশন্স স্পেশালিস্ট অজিত কুমার সরকার, জেলা প্রশাসক এ কে এম শামিমুল হক সিদ্দিক, টিএসবির নির্বাহী পরিচালক ড. অলিউর রহমান এবং প্রশিক্ষক সোহেল রানা।
পলক বলেন, তৃণমূলের উন্নয়নসহ ই-কমার্স পণ্যের বিপণনের তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে তুলে ধরার জন্য ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের (ইউডিসি) ১০ হাজার উদ্যোক্তাকে ইনফোলিডার হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। ফিচার ও প্রতিবেদন লেখা এবং ই-কমার্সের পাশাপাশি আয় বৃদ্ধির জন্য তাদের আউটসোর্সিংয়ের প্রশিক্ষণও দেয়া হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইউডিসিগুলোর ১০ হাজার উদ্যোক্তার প্রতিবেদন ও ফিচার লেখায় দক্ষ করে তোলার মধ্য দিয়ে তৃণমূলের তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত হবে। তারা গ্রামবাংলা ও মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের চিত্র তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় জনগণ ও বহিঃবিশ্বের কাছে পৌঁছে দেবে। ইন্টারনেট ব্যবহার করে শুধুমাত্র তথ্য ও সংবাদ সংগ্রহ করা নয়, তৃণমূলের উন্নয়ন ও সাফল্যের কথা লিখে তা অনলাইনে নিয়ে আসতে হবে এবং বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে হবে।
পলক বলেন, প্রতিটি ইউডিসি হবে অর্থনীতি ও ব্যবসার কেন্দ্র। উদ্যোক্তাদের আউটসোর্সিং ও ই-কমার্সের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে যাতে তারা ইউডিসিগুলোকে বিজনেস প্রসেস সেন্টার হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১০ সালের ১১ নভেম্বর সারা দেশে সাড়ে চার হাজারেরও বেশি ইউডিসি স্থাপন করা হয় । প্রতি মাসে প্রায় ৪৫ লাখ মানুষ এসব ইউডিসি থেকে তথ্য ও সেবা গ্রহণ করছে।
তিন বছর মেয়াদী তৃণমূলের তথ্যজানালা কর্মসূচির আওতায় সারাদেশের ৬৪ জেলায় সাড়ে চার হাজারেরও বেশি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাদের প্রতিবেদন ও ফিচার লেখা, ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি এবং আউটসোর্সিং ও ই-কমার্স পরিচালনায় সক্ষমতা তৈরির প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহযোগিতা করছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রাম ও বাস্তবায়ন সহযোগী কাজ করছে তথ্যসেবা বার্তা সংস্থা।