Fri. Sep 12th, 2025
Advertisements

খােলাবাজার২৪,মঙ্গলবার,  ১৫ জানুয়ারি ২০১৯ঃসব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল অংশ নেয়ায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক আখ্যা দিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

তবে দুর্নীতিবিরোধী আন্তর্জাতিক এই সংস্থার বাংলাদেশ চ্যাপ্টার মনে করে, এবারের নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক বলা গেলেও তা কোনোভাবেই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ বলার সুযোগ নেই।

মঙ্গলবার সকালে ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারের নিজস্ব কার্যালয়ে ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রক্রিয়া পর্যালোচনা’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশের সংবাদ সম্মেলনে এসব মতামত ব্যক্ত করে টিআইবি।

সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির চেয়ারপারসন সুলতানা কামাল, নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

টিআইবি এবারের নির্বাচনে দ্বৈবচয়নের ভিত্তিতে ৪৫টি জেলার ৫০টি আসনের নির্বাচন বিষয়ে গবেষণা করে। তারই আলোকে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়।

প্রতিবেদনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) একরাশ ব্যর্থতা সামনে এনেছে টিআইবি।

তাদের ভাষ্যে, নির্বাচন পর্যালোচনায় দেখা গেছে— নির্বাচন কমিশন অনেক ক্ষেত্রে যথাযথ ভূমিকা পালন করতে সমর্থন হয়নি। তারা নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য সক্রিয় কোনো উদ্যোগ নেয়নি। সবার জন্য সভা-সমাবেশ করার সমান সুযোগ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রেও তেমন কোনো ভূমিকা পালন করেনি।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, নির্বাচনে বিরোধী দলের নেতাকর্মী দমনে সরকারের ভূমিকার পরিপ্রেক্ষিতে অবস্থান নেয়ার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন নীরবতা পালন করেছে বা ক্ষেত্র বিশেষে অস্বীকার করেছে। সব দল ও প্রার্থীর প্রচারণার সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে পারেনি এবং একইসঙ্গে সব দলের প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের নিরাপত্তাও দিতে পারেনি নির্বাচন কমিশন।

টিআইবি বলছে, নির্বাচনী অনিয়ম ও আচরণবিধি লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে বিশেষ করে সরকারি দলের প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন উল্লেখযোগ্য কোনো ব্যবস্থা নেয়ার উদাহরণ তৈরি করতে পারেনি। ফলে নির্বাচন কমিশন যেমন সব দল ও প্রার্থীর জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে পারেনি; আবার লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আছে কি না, তা নিয়েও কমিশনারদের মধ্যে মতবিরোধ প্রকাশ পেয়েছে, যাতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি মানুষের আস্থার ঘাটতি তৈরি করেছে।