
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলায় অবস্থিত রেলওয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন দেশের একমাত্র কংক্রিট মাপার প্লান্টে প্রায় দেড় মাস ধরে রহস্যজনক কারণে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। চলতি বছরে মাত্র দুইবার কারখানাটি চালু হয়েছিলো। কর্তৃপক্ষ বলছে, জনবল সংকট, মেশিনারিজ সমস্যা, কাঁচামালের অভাবে কারখানা বন্ধ রয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন দেশের একমাত্র কংক্রিট মাপার কারাখানা ১৯৮৮ সালে চালু হয়। উৎপাদনের শুরু থেকেই ¯ি¬পারের প্রধান কাঁচামাল হাইটেনশন স্টিল রড, ইনসাট স্টিল পাত ভারত থেকে আমদানি করা হয়। উৎপাদন শুরুর পর থেকে সচল থাকলেও ২০০০ সাল থেকে যান্ত্রিক ত্রুটি ও কাঁচামাল সংকট শুরু হয়। এরপর থেকে মাঝে মাঝে উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়, এতো বছরেও এই সমস্যার সমাধান হয়নি। চলতি বছরের গত ২৭ ফেব্রুয়ারি কারখানা বন্ধ হয়। এর পর চালু হয় গত ৪ মে। কিছুদিন চালু থাকার পর কাঁচামালের অভাবে গত ২৯ মে আবারও বন্ধ হয়ে যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মিলের প্রধান দায়িত্বশীল নির্বাহী প্রকৌশলী পদসহ অসংখ্য পদ শূন্য রয়েছে। এছাড়া উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কেউ কেউ নিয়মিত কর্মস্থলে থাকেন না। কেউ ঢাকায় এবং কেউ সিলেটে থাকেন। তবে কর্মস্থলে না থেকেও তারা নিয়মিত বেতন নিচ্ছেন। জনবল সংকটের মধ্যেও অনেকেই বিভিন্ন অজুহাতে কারখানায় নামমাত্র হাজিরা দিয়ে চলে যান। সম্প্রতি চীনের একটি প্রতিষ্ঠান কারখানাটি বেসরকারি খাতে পরিচালনার আগ্রহ দেখিয়ে মিলটি পরিদর্শন করে, তবে এ বিষয়ে কোনো অগ্রগতির তথ্য জানা যায় নি। সরেজমিন মঙ্গলবারও কারখানাটি বন্ধ পাওয়া গেছে।কারখানার একাধিক শ্রমিক জানান, কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় এই পরিণতি হয়েছে। প্রয়োজনীয় জনবল সংকটের নিরসন ও কারখানার আধুনিকায়কন করা হলে কারখানা চালু রাখা সম্ভব হবে। কারখানা বন্ধের বিষয়ে রেলওয়ে সিলেটের সিনিয়র সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী (ছাতকে অতিরিক্ত দায়িত্ব) আজমাঈন মাহতাব বলেন, সাময়িক সমস্যার কারণে প্লান্টটি বন্ধ রয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভাগীয় প্রকৌশলী (২) ঢাকা এবং ছাতক বাজারে অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবিব জানান, কারখানাটি শিগগির উৎপাদনে যাবে।উর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী জাকির হোসেন খান জানান, আমাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। ঠিকাদার আবারও কারখানা চালুর প্রস্ততি নিচ্ছে।


