Tue. Oct 14th, 2025
Advertisements

খােলাবাজার ২৪,মঙ্গলবার ,১৬জুলাই,২০১৯ঃ মোবাইল ফোন শুধু যোগাযোগের মাধ্যমই নয়, এটা বিনোদনের মাধ্যমও বটে। এই মোবাইল ফোন দিয়ে ইন্টারনেট চালানো, গান শোনা ও ভিডিও দেখা যায়। তাই, শিশু খাবার খেতে না চাইলে অনেক বাবা-মা তাদের শিশুকে মোবাইল হাতে দিয়ে খাবার খাওয়ান বা কান্না থামান।

খাওনোর সময় শিশুর হাতে মোবাইল ফোন বা অন্য যেকোনো ইলেকট্রোনিকস ডিভাইস দিতে বারণ করছেন যুক্তরাজ্যের শীর্ষ চারজন  । তারা মোবাইল ব্যবহারের ক্ষেত্রে কয়েকটি পরামর্শও দিয়েছেন। পরামর্শগুলো হলো,

১. খাওয়ার সময় শিশুর হাতে যেন মোবাইল ফোন দেয়া না হয়। এতে পরিপাকতন্ত্রের ক্ষতি হওয়ার পাশাপাশি তার চোখেরও ভয়ানক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

২. ঘুমানোর আগে ও পরে মোবাইল ফোনটি অবশ্যই বিছানার ধারের কাছেও রাখা যাবে না। সম্ভব হলে রাতে মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে রাখতে পারলে ভালো।

৩. বাবা-মার উচিত শিশুর জন্য কিছুটা সময় রেব করে নেয়া এবং ওই সময়টা তাদের নিয়ে কাটানো। শিশুকে অবশ্য মাঝে মধ্যে নিজের মতো করেও সময় কাটানোর ব্যবস্থা করে দিতে হবে। তবে, সেই সময়টা যেন তারা কোনো ইলেকট্রোনিকস ডিভাইসের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে না থাকে। কারণ, এসব ইলেকট্রোনিকস ডিভাইস থেকে যে ইলেকট্রো-ম্যাগনেটিক রশ্মি বের হয় তা শিশুর গঠনশীল চোখের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

৪. অনেক সময় মোবাইলের পর্দায় ঘটে যাওয়া বিভিন্ন মুভির সাথে শিশু নিজেকে একাত্ম করে ফেলে। স্ক্রিনে ঘটে যাওয়া রাগ, ক্ষোভ ও বিষণ্নতা প্রভৃতির সাথে তার রাগ, ক্ষোভ ও বিষণ্নতা মিলিয়ে ফেলে। এসব ব্যাপারে বাবা-মার সতর্ক থাকার প্রয়োজন।

৫. ইন্টারনেট ব্যবহারকারী শিশুর মধ্যে অনেক সময় খিটখিটে মেজাজ, রাগ ও আত্মহত্যার প্রবণতা দেখা দেয়। একঘেয়েমি তাকে এমনভাবে পেয়ে বসে যে, সামাজিকতা ও কর্মচাঞ্চল্যের গুণাবলি তা ভেতর থেকে ধীরে ধীরে উবে যায়। ইন্টারনেট।