খােলা বাজার২৪। মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১৭: দিনে কিছুটা গরম থাকলেও রাতে বেশ ঠাণ্ডা পড়ায় জয়পুরহাটের লেপ তোষক বানানোর কারিগররা বর্তমানে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন লেপ-তোষক ও জাজিম তৈরিতে। শীতের আগমনী বার্তায় প্রতিটি পরিবারে শীত মোকাবেলায় লেপ তোষকের চাহিদা বেড়ে যায়।
উত্তরাঞ্চলের ছোট জেলা জয়পুরহাট। শীত মৌসুমে এ অঞ্চলে তুলনামূলক শীতের প্রভাব বেশি থাকে। শীত মোকাবেলায় আগাম প্রস্তুতি হিসেবে লেপ তোষক বানানোর কাজ শুরু হয় অক্টোবর-নভেম্বর থেকেই। জয়পুরহাট শহরের রেলপট্টিতে গড়ে ওঠা লেপ তোষক বানানোর পল্লীতে প্রায় ৩০ জন কারিগর রয়েছেন। যারা মালিকদের লেপ তোষক তৈরির অর্ডার অনুযায়ী কাজ করে থাকেন।
জাজিম, লেপ ও তোষক তৈরির মজুরী হিসেবে তারা পান ছোট-বড় অনুযায়ী প্রতিটি জাজিম ৪০০, লেপ বা তোষক হচ্ছে ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা করে। লেপ তোষক বানানোর কারিগর সাব্বির হোসেন জানান, শীত মৌসুমে অতিরিক্ত ইনকামের আশায় দুই ছেলে মুরাদ ও ওয়াহিদকে লেখাপড়ার ফাকে এ কাজে লাগিয়েছি। একেক জন প্রতিদিন গড়ে ৩/৪ টি লেপ বা তোষক তৈরি করে থাকেন। যা আয় হয় এ দিয়ে ছেলেদের লেখাপড়ার পাশাপাশি সংসারের খরচ চলে। সব কারিগর মিলে এখানে কম পক্ষে শতাধিক লেপ-তোষক তৈরি হচ্ছে প্রতিদিন বলে জানান তিনি। সূত্র : ইত্তেফাক অনলাইন
কারিগরদের মধ্যে রমযান আলী, আলম হোসন, হায়দার আলী, বাচ্চু মিয়া, আজম, মিঠু ও রানা জানান, সাইজ অনুযায়ী এবার লেপ তৈরিতে খরচ পড়ছে ৭০০ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত। ৫০ কেজি ওজনের একটি জাজিম ২ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। তোষক বানাতে খরচ পড়ছে ৭০০ থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত। তুলার দামের উপর খরচ কম বেশি হয়ে থাকে বলে জানান, কারিগররা। মজুরি, তুলাসহ লেপ তোষক বানানোর কাজে ব্যবহূত জিনিস পত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় লেপ তোষকের দাম গড়ে ১শ’ থেকে ১৫০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান মোহাম্মদ আলী বেডিং ষ্টোরের মালিক আনিসুর রহমান।
বর্তমান বাজারে গার্মেন্টস ঝুট দিয়ে তৈরি সিঙ্গেল তোষক ৩শ’ থেকে ৩৫০ টাকা এবং ডবল তোষক ৮শ’ থেকে ১২শ’ টাকা বিক্রি হচ্ছে। গত বছর শিমুল তুলা ছিল ৩৫০ টাকা কেজি, এবার বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৪০০ টাকা। গার্মেন্টস ঝুট গত বছর ২৫ টাকা কেজি বিক্রি হলেও এবার ৩৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে বলে জানান, তোষক বিক্রেতা রমযান আলী। অন্যান্য তুলাও কেজি প্রতি ১০/১৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান বিক্রেতারা।