খােলা বাজার২৪।সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৭: হাজার হাজার বছর আগের কথা। তখন পৃথিবীতে মনুষ্যবসতি ছিল না। তখন জলে-স্থলে ঘুরে বেড়াত অদ্ভুত সব প্রাণী। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কালের গর্ভে চলে গেছে তারা। বিজ্ঞানীরা কিন্তু ক্রমাগত খুঁজে চলেছেন পৃথিবীর এসব প্রাণী সম্পর্কে নানা তথ্য। বিশ্বের নানা প্রান্তে, কখনও জলে, কখনও স্থলে তাদের জীবাশ্ম থেকে জানা যায় পৃথিবী সম্পর্কে নানা অজানা তথ্য। যেমন চলতি বছর ভারতের মাটিতেই আবিষ্কৃত হয় এক অদ্ভুত দর্শন মাছের।
বিজ্ঞানীদের মতে, এটি জুরাসিক যুগের সামুদ্রিক প্রাণী, নাম ‘ফিশ লিজার্ড’। এবার এমনই এক জলজ প্রাণীর জীবাশ্ম পাওয়া গেছে অ্যান্টার্কটিকায়। বৃহদাকার এক সামুদ্রিক সরীসৃপ। বিজ্ঞানীদের মতে, এ প্রাণীর অস্তিত্ব ছিল প্রায় ১৫০ মিলিয়ন বছর আগে। তারা আরও জানান, অ্যান্টার্কটিকার প্রাচীনতম প্রাণী সম্ভবত এটিই।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম ‘টেকটাইমস’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, অ্যান্টার্কটিকায় এ জীবাশ্ম আবিষ্কারের মূলে রয়েছেন একদল আর্জেন্টাইন গবেষক। তাদের মতে, জুরাসিক যুগের শেষদিকে এক ধরনের মাংসাশী সরীসৃপ ছিল, যার চারটি পাখনা থাকত। প্রায় ১২ মিটার দৈর্ঘ্যরে এ মাংসাশী প্রজাতির বৈজ্ঞানিক নাম ‘প্লেসিওয়র’। অ্যান্টার্কটিকার যে জায়গায় ওই জীবাশ্ম পাওয়া গেছে, তাতে বেশ বিস্মিত গবেষকরা। কারণ ওই জায়গায় যে ধরনের পাথর রয়েছে, তা জীবাশ্ম সংরক্ষণের জন্য একেবারেই অনুকূল নয়। এখন পর্যন্ত আর কোনো তথ্য জানা যায়নি সদ্য আবিষ্কৃত এ মাংসাশী সরীসৃপ সম্পর্কে। প্রসঙ্গত, প্লেসিওয়র ঘরানার প্রাচীনতম জীবাশ্ম আবিষ্কৃত হয়েছিল জার্মানিতে, ২০১৩ সালে। মার্কিন মুল্লুকের লক নেস হ্রদের মূল খ্যাতি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে ঠিক নয়। তাতে বাসরত এক রহস্যময় প্রাণীকে ঘিরে। যাকে এ বছর ৯ বার দেখা গেছে বলে দাবি করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, এ প্রাণীটিও ‘প্লেসিওয়র’ প্রজাতির। ফলে এমনটা মনে করার কোনো কারণ নেই, মাংসাশী সরীসৃপ একেবারে অবলুপ্ত হয়ে গেছে। আলোকিত বাংলাদেশ