খােলাবাজার২৪,শনিবার, ০৫ জানুয়ারি ২০১৯ঃ দশম সংসদের মেয়াদ ফুরোনোর আগে একাদশ সংসদের সদস্যদের শপথ নেওয়ার মধ্য দিয়ে বেআইনি কাজ হয়েছে বলে দাবি করেন জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব।
তিনি বলেন, উনি(শেখ হাসিনা) তড়িঘড়ি করে শপথ নিয়েছেন। আপনি তো ভোটে জিতেন নাই। আপনার শপথ নেওয়া বেআইনি। এই সংসদের (দশম) মেয়াদ আছে ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত, সেই সংসদ বাতিল করেছে, এটা আমি কোনো পত্রিকায় দেখি নাই।
তাহলে বাংলাদেশে ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত সংসদ সদস্য হলে ৬০০! ওই সংসদ বাতিল না করে কীভাবে শপথ নিলেন আপনারা? এই শপথ বেআইনি ও অবৈধ। আপনার শপথ সংবিধানবিরোধী ও নীতি-নৈতিকতা বিরোধী।
১৯৮৮ সালে সব দলের নির্বাচনের বর্জনের মধ্যে গঠিত সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রব বলেন, ভোটের তারিখ ছিল ৩০ তারিখ, ২৯ তারিখে ব্যালট শেষ। আমি ১৯৫৪ সালে ভোট দিতে গেছি, সেই থেকে এই পর্যন্ত সব ভোট দেখেছি, পৃধিবীর বিভিন্ন দেশের ভোটের ইতিহাস আমি পড়েছি, এরকম ভোট কোখাও হয়েছে কি না, আমার জানা নেই। এটা ঘৃণা করার ভাষা নেই।
সুবর্ণচরে ধর্ষিত নারীর প্রসঙ্গ ধরে তিনি বলেন, এদের আক্রমণে সুবর্ণচরের এক মহিলার শরীর ক্ষত-বিক্ষত হয়ে গেছে, তার শরীরে সিগেরেটের ছ্যাঁকা দিয়েছে। আমার সেই বোনকে আমরা দেখতে এসেছি।
একাত্তরের যেভাবে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন, এই হায়নারের বিরুদ্ধে রুখে না দাঁড়ালে মান-ইজ্জত নিয়ে কেউ বাঁচতে পারবে না।
সভায় কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগের সভাপতি আবদুল কাদের সিদ্দিকী বলেন, ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন হয়নি, প্রহসন হয়েছে। আজকে আইন নেই, বিচার নাই, প্রশাসন নাই, পুলিশ নাই। সব দলীয় হয়ে গেছে। এদের হাত থেকে নিজেদের বাঁচাতে হলে প্রথম নিজেকে তৈরি করতে হবে। সকলে শৃঙ্খলাবদ্ধ হোন।
শেখ হাসিনাকে ‘জননেত্রী’ সম্বোধন করতেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া আমাকে বলেছেন, ভাই এরপরও আপনি জননেত্রী বলেন। আমি বলেছিলাম, বলতে বলতে অভ্যাস হয়ে গেছে।
গত ২ জানুয়ারি আমি তাকে জননেত্রীর আসন থেকে, আমার অন্তর থেকে ত্যাগ করেছি। উনি (শেখ হাসিনা) যদি সারা পৃথিবীর বাদশাও হোন তাহলেও বঙ্গবন্ধুর একজন নগণ্য শিষ্য হিসেবে আমি যে জননেত্রী বলতাম, সেটা না বলা তার সবচাইতে বড় ক্ষতির হবে।
পথে বেগমগঞ্জে শরীফপুর ইউনিয়নের মুরাদপুর গ্রামে ভোটের পর জ্বালিয়ে দেওয়া বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলম শাহিনের বাড়িতে যান ফখরুলরা।
এ সময় ওই এলাকার সাবেক সাংসদ ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু ও তার স্ত্রী শামীম আরা লাকীসহ স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে সেনবাগে জয়নুল আবদিন ফারুকের বাড়িতে যান ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। সেখান থেকে ঢাকায় ফেরার পথে ফেনীতে বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যানর আবদুল আউয়াল মিন্টুর বাড়িতেও যান ঐক্যফ্রন্ট নেতারা।