খােলা বাজার২৪। বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১৭: স্মার্ট হেলথ ডিভাইস ব্যবহার করে ঘরে বসেই প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা যাচ্ছে। হাসপাতালে দীর্ঘ লাইন ও টেস্ট প্রতি অতিরিক্ত খরচ বাঁচাতে জনপ্রিয় হচ্ছে হেলথ টুলস। এর মাধ্যমে আক্রান্ত হওয়ায় আগেই স্বাস্থ্যঝুঁকি পরিমাপ করে অনেকক্ষেত্রে মৃত্যুঝুঁকি এড়ানো সম্ভব। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রান্তিক জনগণের স্বাস্থ্য সেবায় এগিয়ে আসা প্রতিষ্ঠানকে অর্থ বরাদ্দসহ যাবতীয় সহযোগীতার আশ্বাস তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের। সূত্র: সময় টিভি
স্মার্ট টুলস ও মোবাইল অ্যাপসের সমন্বয়ে ব্লাড পেসার, পালস, ব্লাড অক্সিজেন স্যাচুরেশন, শরীরের তাপমাত্রা, ওজন ও উচ্চতা অনুযায়ী ওবিসিটি পরীক্ষাসহ নানা ধরণের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছে অনেকেই। পরীক্ষা পরবর্তী ফলাফলে ধরা পড়ছে রোগ।
এর ব্যবহারকারীরা বলেন, হাসপাতালে না গিয়ে ১০ মিনিটেই এর মাধ্যমে রোগ নির্ণয়ে সক্ষম হচ্ছি আমরা।
প্রয়োজন অনুযায়ী স্বল্পমূল্যে স্মার্ট হেলথ টুলস কিনে এক একটিতে ১০ হাজার বার পর্যন্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো সম্ভব। এছাড়া পর্যায়ক্রমে এলাকাভিত্তিক সেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে ১০০ টাকায় ১০ টি স্বাস্থ্য পরীক্ষার সুযোগ তৈরি করে দেয়ার পরিকল্পনা সিমেডের।
অন্যদিকে পরীক্ষা করতে আসা কয়েকজন বলেন, শুধুমাত্র হাসপাতালে যেতেই যেই খরচ হয় সেই খরচে পরীক্ষাগুলো করতে পারছি আমরা। হাসপাতালের বিড়ম্বনা এড়িয়ে মাত্র ১০০ টাকা খরচেই এ সুবিধা পাচ্ছি আমরা।
আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হওয়ায় ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মত রিপোর্ট প্রিন্ট করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া যায়। প্রতিটি ইউজারের অ্যাকাউন্টে হেলথ ডাটা রেকর্ডের সুযোগ থাকায় পৃথিবীর যে কোন প্রান্ত থেকে তা দেখার সুযোগ রয়েছে পরিবার প্রিয়জনদের।
এ বিষয়ে সিমেড হেলথের প্রতিষ্ঠাতা ড. খন্দকার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যেই এ সেবা চালু করা হয়েছে।
এদিকে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় জাতীয় আইসিটি পুরস্কার পাওয়া সিমেডের মত অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে সব ধরণের সহযোগিতা দেবার আশ্বাস দিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, দেশে এবং দেশের বাইরের সকলেই যেন এই সেবা পেতে পারেন সেজন্য আমাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
দেশে প্রতিবছর বিভিন্ন রোগে মৃত্যুর শতকরা ৬২ ভাগ মারা যায় অসংক্রামক ব্যাধিতে। আক্রান্ত হওয়ার আগেই নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার মাধ্যমে এসব স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়ানো সম্ভব। তবে দেশের প্রান্তিক জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষার পাশাপাশি অসংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসার আহ্বান সরকারের।