
খােলাবাজার২৪,রবিবার,১২সেপ্টেম্বর,২০২১ঃ আব্দুল আউয়াল, বানারীপাড়া প্রতিনিধি: চিকিৎসকের অবহেলায় প্রসূতি মায়ের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমন অভিযোগ করেছেন মৃত প্রসূতির স্বামী ভ্যান চালক মোঃ জসিম উদ্দিন হাওলাদার ও তার মা বিউটি বেগম। তারা জানান, শনিবার প্রসূতি লাভলী বেগমকে(২৬) বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কামরুন্নাহার সহ কয়েকজন নার্স দুপুরে সিজারের জন্য অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যায়। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার এস এম কবির হাসান অনেকক্ষণ দেরী করে অপারেশন থিয়েটারে আসেন। এ সময় নার্স কামরুন্নাহার রোগীর লোকজনকে সরিয়ে দেন। কিছুক্ষণ নার্সরা অপারেশন রুম থেকে বেরিয়ে তারাহুরো করে রোগীর লোকজনকে জানায় আপনাদের রোগীর একটি পুত্র সন্তান হয়েছে, সে সুস্থ আছে বলে শিশুটিকে দাদীর কোলে দেয় এবং ওই নার্স জানায় বাচ্চার মাকে বাঁচাতে পারিনি। এসময় ডাক্তার সহ অন্যান্য নার্সরা মৃত প্রসূতি লাভলী বেগমকে (কাউকে না দেখিয়ে) তারাহুরো করে কোন ছাড়পত্র না দিয়ে হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সে উঠিয়ে মৃত প্রসূতির স্বামীর বাড়ি উপজেলার চাখার ইউনিয়ন ৪ নং ওয়ার্ডে পাঠিয়ে দেয়। ঘটনাটি এলাকায় চানঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।এ বিষয়ে ৪ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মেজবাহ উদ্দিন সোহেল জানান , আমি এই লাভলী বেগম ও জসিম কে ভালো করেই চিনি এরা আমার কাছে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রয়োজনে এসেছে।আমি লাভলীর মৃত্যুর খবর শুনে তৎক্ষণাৎ ওদের বাড়ি গিয়েছি জসিম ও তার পরিবার আমাকে জানায় ডাক্তার ও নার্সের অবহেলায় লাভলীর মৃত্যু হয়েছে। আমি চাই যদি অবহেলার কারণে লাভলীর মৃত্যু হয় তাহলে তার তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক বিচার হোক ।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার এস এম কবির হাসান বলেন, প্রসূতি লাভলী বেগমকে আরো এক মাস পূর্বে হাসপাতালে ভর্তির জন্য বলা হয়েছিল কিন্তুু ভর্তি করায়নি। লাভলী বেগম কে পুরোপুরি সুস্থ ভাবেই অপারেশন থিয়েটারে নেয়া হয়। তবে শনিবার লাভলীর সফল অপারেশনের পর রক্তচাপ বেড়ে যায় এবং হার্ট এ্যাটাক করে। আমাদের সকল চেস্টা ব্যর্থ হয় এবং তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে বরিশাল সিভিল সার্জন ডাক্তার মোঃ মনোয়ার হোসেন জানান, যদি সংশ্লিস্ট ডাক্তারের অবহেলায় প্রসূতি মারা যায় এর অভিযোগ পেলে অবশ্যই তদন্ত পূর্বক আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।