Sun. Jun 15th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলাবাজার ২৪,সোমবার,২৭মে ২০১৯ঃ ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ দিয়ে আগামী বৃহস্পতিবার লন্ডনে পর্দা উঠবে ২০১৯ বিশ্বকাপের। তবে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের মিশন শুরু হবে আগামী ২ জুন ওভালে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। এবারের আগে ৫ বার বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করে টাইগাররা। কিন্তু একবারও শিরোপা ঘরে তুলতে পারেনি তারা। তবে নিজেদের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে আত্মবিশ্বাসে টইটম্বুর বাংলাদেশ দল। তাই ২০১৯ বিশ্বকাপে কী করবে বাংলাদেশ?

আসলে বিশ্বকাপে বাংলাদেশও কি কম অনুমেয়! কখনও শিকারি হয়ে ভেঙে দিয়েছে নিজেদের চেয়ে অনেক বড় দলের বিশ্বকাপ-স্বপ্ন, কখনও নিজেরাই হয়ে গেছে ছোট কোনও দলের শিকার।

মাত্র এক যুগ আগে। বিশ্বকাপে একই ম্যাচে অভিষেক তাদের। সেই ম্যাচেই আবার স্মরণীয় এক জয়। তারা হলেন- সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম।

২০০৭ সালের ১৭ মার্চ। ২০০৭ বিশ্বকাপে ভারতকে সেই দিনেই হারিয়েছিল বাংলাদেশ। ভারতের সে সময়ের প্রধান পেসার জহির খানকে ডাউন দ্য উইকেটে এসে প্রবল ঔদ্ধত্যে লং অন দিয়ে বিশাল ছক্কা মারলেন ১৭ বছরের এক তরুণ, নাম তামিম ইকবাল।

তবে সেই ম্যাচে শুধু তামিম নন, সে দিন বিশ্বকাপে অভিষেক হয়েছিল বাংলাদেশের আরও দুই তরুণ তুর্কির, নাম সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। এই তিন বিশ্বকাপ অভিষিক্তের ব্যাটে বাংলাদেশ জিতেছিল সেই ম্যাচ, তিনজনই করেছিলেন হাফ সেঞ্চুরি।

সে দিন এ দেশের ক্রিকেটকে ঘিরে নতুন স্বপ্ন এঁকে দিয়েছিল তামিম, সাকিব, মুশফিক। তামিমের ওই ছক্কা শুধু ছয়টা রান ছিল না কেবল, ওটা বিশ্বের জন্য বার্তা ছিল। ওই দিনটা আমাদের ক্রিকেটের জন্য বিশেষ একটা দিন।

আর সেই বার্তা যে ভুল ছিল না, সেটি এক যুগ ধরে প্রমাণ করে দিয়েছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটের এই তিন তারকা।

বিশ্বের অন্যতম সেরা ওপেনার হিসেবে তামিম ইকবাল নিজেকে প্রমাণ করেছেন। আর যে কোনও দলই নিশ্চয়ই মুশফিকুর রহিমের মতো একজন উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যানকে চাইবে। যিনি একটি দেশের প্রধান ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলে চলেছেন প্রায় দেড় যুগ। এছাড়া সাকিব আল হাসানকে নিয়ে নতুন করে বলার কী আছে? তিন ফরম্যাটে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার ছিলেন লম্বা সময়।

আর তাই এই ত্রয়ীকে এক শব্দে যদি বাঁধতে চান, তাহলে ‘আস্থা’ই সম্ভবত ভালো শব্দ। শুধু বিশ্বকাপ কেন, আজও যে কোনও ম্যাচে বাংলাদেশের নামা মানেই প্রত্যাশার চাপে পিষ্ট এই ত্রয়ী।

তারা যত দিন সম্ভব একসঙ্গে বাংলাদেশের সব সোনালি স্বপ্নপূরণের সাক্ষী হোন—এর চেয়ে বেশি আর কী চায় বাংলাদেশ? এবার বিশ্বকাপেও বাংলাদেশ যেমন চাইছে—এই তিনের ব্যাটে রানের বান ডাকুক, সাকিব বোলিংয়ে বিশ্বকে শাসন করুন, উইকেটের পেছন থেকে অনুপ্রেরণার সুর ছড়িয়ে যান মুশফিক, বাজপাখির মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে কোনও ক্যাচ নিয়ে স্টেডিয়ামকে স্তব্ধ করে ফেলুন তামিম। তবে বিশ্বকাপটা ইংল্যান্ডে বলেই বোধ হয় চাওয়াটা আরও বাড়তি এই তিনের কাছে। কারণ অভিজ্ঞতা তো আছেই, ইংল্যান্ডের বুকে সুখস্মৃতি আছে এই তিনেরই।